এসআই বাবলু
অর্থকরী ফসল হিসেবে সবার ওপরে রয়েছে আলু। দেশে দিনদিন আলুর চাষাবাদ বাড়ছে। একই সঙ্গে বড় সম্ভাবনা দেখে দিয়েছে রফতানির। তাই আলুতে লাভবান হতে চাষিদের অবশ্যই ভালো জাতের, সঠিক সময়ে ও সঠিক পরিচর্যায় আলুর চাষাবাদ করতে হবে।
এমনটি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্র জানায়, আলুর জন্য জমি তৈরি ও বীজ বপনের উপযুক্ত সময় অক্টোবর। হালকা প্রকৃতির অর্থাৎ বেলে দো-আঁশ মাটি আলু চাষের জন্য বেশ উপযোগী।
আলু চাষে লাভবান হতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) উদ্ভাবিত আগামজাত ও উচ্চফলনশীল জাতগুলো নির্বাচন করা প্রয়োজন। এছাড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ, রফতানি ও খাবার উপযোগী জাত নির্বাচন করাও হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
প্রতি একর জমি আবাদ করতে ৬০০ কেজি বীজ আলুর দরকার হয়। এক একর জমিতে আলু আবাদ করতে ১৩০ কেজি ইউরিয়া, ৯০ কেজি টিএসপি, ১০০ কেজি এমওপি, ৬০ কেজি জিপসাম এবং ৬ কেজি দস্তা সার প্রয়োজন হয়।
তবে এ সারের পরিমাণ জমির অবস্থাভেদে কমবেশি হতে পারে। তাছাড়া একর প্রতি ৪-৫ টন জৈবসার ব্যবহার করলে ফলন অনেক বেশি পাওয়া যায়। আলু উৎপাদনে আগাছা পরিষ্কার, সেচ, সারের উপরি প্রয়োগ, মাটি আলগাকরণ বা কেলিতে মাটি তুলে দেওয়া, বালাই দমন, মালচিং করা আবশ্যকীয় কাজ। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিনা চাষে মালচিং দিয়ে আলু আবাদ করা যায়।