উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুরে হারতা নাথারকান্দি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টাকা ছাড়া মিলছেনা সার্টিফিকেট, মার্কশীট ও প্রত্যায়নপত্র বলে অভিযোগ করেছে অভিভাবক ও একাধিক শিক্ষার্থীরা। ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক দুলাল বিশ্বাসের দূর্নীতির বিরুদ্ধে বিচারের দাবীতে ফুসে উঠেছে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। এমনকী ওই এলাকার খলিল তালুকদার এর ছেলে এস.এস.সি পরিক্ষায় উত্তীর্ন হওয়া ছাত্র সাকিব তালুকদার ২ শত টাকা নিয়ে কয়েক দিন ধরে প্রত্যায়নপত্র আনার জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে ধর্ন্যা ধরেও পায়নি প্রত্যায়নপত্র। প্রধান শিক্ষক ছাফ জানিয়ে দিলো ৫ শত টাকা না পেলে প্রত্যায়নপত্র দেয়া যাবেনা। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি বৃহষ্পতিবার সকালে তার বাবা কোন উপায়ন্তু না পেয়ে স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে টাকা দাবীর ব্যাপারে বৈধতা চ্যালেন্স করে। পরে উভয়ের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়। এ ব্যাপারে ছাত্র সাকিবের বাবা খলিল তালুকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এলাকার প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে স্হানীয়দের সহায়তায় বিষয়টি মিমাংসা হয়। তবে আজকে প্রত্যায়নপত্র না পেলে আমার ছেলে কলেজে ভর্তি হতে পারতোনা। শিক্ষার্থী সাকিব তালুকদার সহ আরো একাদিক শিক্ষার্থীরা জানান যে গত বছরে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর টাকা নিয়েছে আমাদের কাছ থেকে কিন্তু ক্রীড়া সাংস্কিক অনুষ্ঠান হয়নি,এবং শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। অপর দিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দুলাল বিশ্বাস বলেন স্কুলে ব্যায়বহুল খরচ হয়ে থাকে এবং করোনার মধ্যে তেমন আয় উপার্যন না হওয়ায় বিত্তবান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫ শত টাকা নিয়ে থাকি ও গরীব শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনেক কম টাকা নেই। সাকিবের সাথে টাকা যে ঝামেলা হয়েছে তা আমরা মিমাংসা হয়েছি। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ওপেন সমাদ্দার জানান বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন অযুহাতে টাকা নেয়া আইন সম্মত নয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবি.এম জাহিদুল ইসলাম জানান কোনক্রমেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট, প্রত্যায়নপত্র, মার্কশীটসহ কোন অযুহাতে টাকা নেয়ার বিধান নেই। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিললে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে। দূর্নীতিবাজ ওই প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে বিচারের দাবী জানিয়ে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।