চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলাটি যমুনা নদী দ্বারা পশ্চিম ও পূর্ব দু’ভাগে দ্বিখন্ডিত। মূল উপজেলা যমুনা নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত। বিগত কয়েক বছর যাবত পূর্ব পাড়ে যমুনা নদীর অব্যহত ভাঙ্গনের ফলে পার্শ্ববর্তী টাংগাইল উপজেলার নাগরপুরের সীমান্ত ছুই- ছুই।
চৌহালীর ভাঙ্গণ কবলিত এলাকা হিসেবে পরিচিত দক্ষিণের ভাটি অঞ্চলের চরবিনানুই এলাকায় ভাঙ্গন প্রতিরোধে অদ্য (১২.৯.২১) রবিবার পানি উন্নয়ন বোর্ড, টাংগাইল ১০০ মিটার জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন সরকার। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাঘুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাহ্হার সিদ্দিকী, ট্যাগ অফিসার গিয়াস উদ্দিন সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডর প্রতিনিধিগন।
স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ আঃ মোমিন মন্ডলের বিশেষ তৎপরতায় পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরী ভিত্তিতে এই জিও ব্যাগের ডাম্পিং প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ায় ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে স্থানীয়রা জানান।
অল্প কাজে কেন নদী ভাঙ্গণ প্রতিরোধ হবে জানতে চাইলে এলাকাবাসী বলেন, বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই মিটুয়ানী থেকে চরবিনানুই বাজার সহ আশপাশে কিছু এলাকায় প্রায় ৪০০ মিটার ইমারজেন্সি বস্তা ডাম্পিং এর কাজ করা হয়েছিল যার সুফল পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য বিগত বর্ষা মৌসুমের শুরু হতে এখন পর্যন্ত চরসলিমাবাদ, ভূতের মোড় এবং চরবিনানুই সহ আশেপাশের প্রায় ৩০০ টি বসত বাড়ী, ১টি হাট বাজার ও ১ টি কমিউনিটি ক্লিনিক যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
এব্যাপারে চৌহালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন সরকার বলেন, স্থায়ীভাবে এ অঞ্চলের ভাঙ্গন প্রতিরোধে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করা একান্ত অপরিহার্য। ভাঙ্গন রোধ করতে না পারলে উপজেলার খাষপুকুরিয়া ও বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বাকী অংশটুকু বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সেরাজুল ইসলাম জানান, ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড আন্তরিকতার সহিত কাজ করছে। বরাদ্দ পাওয়া স্বাপেক্ষে বস্তা ডাম্পিং এর কাজ আর বাড়তে পারে বলে প্রতিবেদককে জানান।