মিজানুর রহমান মিলন :
মৃত্যুর ১৪ বছর পার হলেও তার জনপ্রিয়তার এতটুকুও ভাটা পড়েনি। প্রিয় নায়কের মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা আয়োজন হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় নায়ক মান্নার ভক্তরা আয়োজন করেন দোয়া ও মিলাদের।
বিএফডিসি আয়োজিত নতুন মুখের সন্ধানে কার্যক্রমে অংশ নিয়ে দুই দশক বাংলা সিনেমা এগিয়ে নিয়ে যান মান্না। তার নিজস্ব স্টাইলের কারণে তিনি এ দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেই নায়কের মৃত্যুদিনে তার অগণিত ভক্ত দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করে থাকেন। এবারও প্রিয় নায়কের জন্য ‘মহানায়ক মান্না ফ্যান ক্লাবের’ উদ্যোগে আয়োজিত হয় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোরআন শরিফ ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ।
মৃত্যুর পর টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় সমাহিত করা হয় নায়ক মান্নাকে। সেখানে পারিবারিক নানা জটিলতার কারণে কবর সংস্কার নিয়ে নানা সমালোচনার শিকার হন মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না। অবশেষে সেটিও নতুনভাবে সংস্কার করেন তার স্ত্রী।
এ বিষয়ে মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে কবরটির সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। তার বড় কারণ, এটি পারিবারিক কবরস্থান। অনেকের সিদ্ধান্তের ব্যাপার ছিল। এর আগে আমরা মান্নার কবর সংস্কার করেছিলাম। নিচু জায়গা হওয়ায় কবরে মাটি ফেলতে হয়েছে। এ ছাড়া মান্নার চাচা প্রবাসী হওয়ায় তারও আসার একটা ব্যাপার ছিল। উনি আসার পর আবারও মাটি ফেলেন। অবশেষে মান্নার চাচার পারমিশন পাওয়ায় আমরা কবরটি সংস্কার করলাম।’
১৯৬৪ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন মান্না। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করার পরই ১৯৮৪ সালে তিনি ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন। দুই যুগের দাপুটে অভিনেতা মৃত্যুর আগপর্যন্ত ছিলেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে।