শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে নিজ বসতবাড়ির উঠান পরিষ্কার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চাচা-ভাতিজাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের চুরকুটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে, ধানী জমিতে পানি সেচ দিতে গিয়ে ১জন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন-উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের চুরকুটা গ্রামের বির্জন চন্দ্র ভূঁইয়ার ছেলে ক্ষিতিশ চন্দ্র ভূঁইয়া (৬৫), তার ভাতিজা একই গ্রামের বিমল চন্দ্র ভূঁইয়ার ছেলে পলাশ চন্দ্র ভূঁইয়া (৩৫) ও প্রতিবেশী চাঁন চন্দ্র ভূঁইয়ার ছেলে ক্ষিতিশ চন্দ্র ভূঁইয়া (৩০)। পানি সেচ দিতে গিয়ে নিহত মিষ্টার (২৮) উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের বানিয়া গুন্দাইল গ্রামের আলম মিস্ত্রির ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, নিজ বাড়ির উঠান পরিষ্কার করছিলেন ক্ষিতিশ চন্দ্র। একপর্যায়ে গ্রামের চুরকুটা দুর্গা মন্দির পূজামণ্ডপে নেওয়া বিদ্যুৎ লাইনের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যান ভাতিজা পলাশ চন্দ্র ভূঁইয়া, ছেলে শ্রী রুবেল চন্দ্র ভূঁইয়া, প্রতিবেশী ক্ষিতিশ চন্দ্রসহ ছয়জন। এক পর্যায়ে তারাও বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই ওই তিনজন মারা যান।
অন্য দিকে, উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের বানিয়া গুন্দাইল গ্রামে ধানি জমিতে পানি সেচ দিতে গিয়ে তারের সঙ্গে জড়িয়ে মিষ্টার ঘটনাস্থলেই মারা যান।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখানে কারও গাফলতি থেকে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাশগুলো পরিবারের নিকট হস্থান্তর করা হয়েছে।