মিজানুর রহমান মিলন :
বগুড়া সদরের নামুজা ইউনিয়ন পরিষদের ২ জন পুরুষ মেম্বার কর্তৃক সংরক্ষিত মহিলা আসনের জনৈক ১ জন মহিলা মেম্বারকে ধর্ষণের চেষ্টা, আটক -২ এলাকায় ছিঃ ছিঃ রব।
সরে জমিনে ও ভুক্তভোগী ১জন জনৈক মহিলা মেম্বার জানান গত ১৩/৩/২২ ইং তারিখে বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদে সভা শেষে নামুজা ইউনিয়ন পরিষদে বসে টিসিবির কার্ড নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে সবাই চলে গেলে সন্ধার পূর্ব মহুর্তে ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বগারপাড়া গ্রামের মৃত রশিদের পুত্র রুবেল মিয়া খায়রুন সুন্দরী নামে এক মহিলা মেম্বারকে হল রুমে ডাকে। সে যেতে না চাইলে তাকে মার্কেট করার জন্য টাকার প্রলোভন দেয়, এতে মহিলা মেম্বারের সন্দেহ হলে সে চলে আসতে চায়, সে সময় রুবেল তাকে জাপটে ধরে জোর করে পরিষদের হল রুমে নিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করে, তার ডাক চিৎকারে রুবেল তাকে ছেড়ে দেয় বলে মহিলা মেম্বার সাংবাদিকদের জানান। তিনি আরও জানান সে সময় ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বজলুর রহমান পাশে ছিল। এঘটনা জানাজানি হলে পরদিন ১৪/৩/২২ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ১০ টায় বগুড়া সদর থানা পুলিশ জানতে পেয়ে এসআই মন্তাজ নামুজা ইউনিয়ন পরিষদে পৌছে রুবেল ও বজলুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এস আই মন্তাজ জানান বাদী আইনের আশ্রয় নিলে আমরা তাকে আইনি সহায়তা দেব। এব্যাপারে নামুজা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম জানান, আমি ঘটনাটি পরদিন শুনেছি আমার পরিষদের যে কেউ এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাটি চারদিকে ছড়ে পড়লে ছিঃ ছিঃ রব উঠে — রক্ষক যদি ভক্ষক হয়, তাহলে সাধারণ মহিলারা যাবে কার কাছে? বিষয়টি তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভুক্তভোগীর পরিবার প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত মহিলা মেম্বারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।