স্টাফ রিপোর্টার :
বগুড়ার শাজাহানপুরে এক মাদরাসা ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বাড়িতে ডেকে এনে দিনভর ধর্ষণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের ডেমাজানী দক্ষিন পাড়া গ্রামে। অভিযুক্ত ধর্ষক রিফাত (১৬) উপজেলার ফুলকোট নবোদয় কারিগরী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র এবং পলাতক রয়েছে।সে ডেমাজানী গ্ৰামের বিশিষ্ট ওয়ার্কসপ ও ওয়েল্ডিং ব্যবসায়ী এবং আমরুল ইউনিয়ন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম রফিকের ছেলে।
৬ সেপ্টেম্বর সোমবার এ ঘটনায় শাজাহানপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মাদ্রাসা ছাত্রীর মা জুলেখা বেগম জানান, তার মেয়ে কামিলে লেখাপড়া করে। তাদের বাড়ি শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের কানুপুর গ্রামে। পার্শ্ববর্তী শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের ডেমাজানী গ্রামের রিফাত প্রায় এক বছর যাবত তার মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এ নিয়ে নিষেধ করা সত্বেও সে বারণ মানেনা। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ সেপ্টেম্বর শনিবার দিন সে বাড়িতে না থাকার সুযোগে তার মেয়েকে ভালবাসার প্রলোভন দিয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পাশেই তার ফুফুর বাড়িতে নিয়ে যায়। এসময় ওই বাড়িতে কেউ না থাকায় দিনভর মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
মেয়েটির খালা হালিমা জানান, ওই বাড়িতে কেউ থাকেনা। সারাদিন দুইজনে ঘরের ভিতরে ছিল। বিকেলে টের পেলে রিফাতের আত্মীয় স্বজনরা এসে রিফাতকে নিয়ে যায়। আর মেয়েটিকে তার পিতার বাড়িতে রেখে আসে। এরপর মেয়েটি সব হারিয়ে কাদতে থাকে এবং বাবা মাকে সব জানালে তারা এসে থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
মেয়েটির নানা হাবিল মিয়া জানান, বিয়ের কথা বলে দিনভর তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা হয়েছে। তাছাড়া রিফাতের পিতা-মাতা ও আত্মীয় স্বজনরা দাপুটে হওয়ায় নির্যাতিতা মেয়েটির কথা কেউ আমলে নেয়নি এবং জটিলতা থেকে বাচতে সন্ধ্যার পর জোড় করে মেয়েটিকে রেখে এসেছে। রিফাতের মা বাবা জানান, ওসব কিছু না। ছেলে মেয়ে ওসব একটু করেই থাকে। তবে রিফাত পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার নারী, শিশু , বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী হেল্প ডেক্সের দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই জেবুননেছা জানান, অভিযোগের পর নির্যাতিতা মাদরাসা ছাত্রীকে মেডিকেল ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে এবং তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।