মিজানুর রহমান মিলন :
বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার চুপিনগর ইউনিয়নের জয়ন্তিবাড়ী দারুললহুদা বালিকা দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল হান্নান এবং সুপার মোঃ নজরুল ইসলামের অনিয়মের প্রতিবাদে প্রধান মন্ত্রীর দৃস্টি আকর্ষন করে মানব বন্ধন করেছে গ্রামবাসি।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা সংলগ্ন সড়কে দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত মোট ১ঘন্টা এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানব বন্ধনে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, সভাপতি এবং সুপার সিন্ডিকেট ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসের অন্তত ২০টি গাছ কেটে বিক্রি করেছে। যে টাকা মাদ্রাসার তহবিলে জমা দেয়নাই এবং গাছ বিক্রি করার এখতিয়ার মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ রাখেন না। এখনো কাটা একটি গাছ মাদ্রাসার পিছনে পড়ে রয়েছে। গ্রামবাসির বাধার কারণে সেটি সরাতে পারেনাই কমিটি।
গত ১২বছরের বেশি সময় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি বরাদ্ধের টাকায় কোন উন্নয়ন কাজ হয় নাই। মাদ্রাসার পিলার থেকে প্লাস্টার খুলে রড বেরিয়ে আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি সাইনবোর্ড পর্যন্ত নাই।
তিনি আরো বলেন, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য আব্দুর খাবির সভাপতির বিয়াই। অভিভাবক সদস্য মাসুদ রানা সভাপতির ভাগিনা। শিক্ষক প্রতিনিধি শাহিনুর ইসলাম সভাপতির বিয়াই।
এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির সহকারি সুপার মোস্তাফিজার রহমান সভাপতির মামা। সহকারি শিক্ষক শাহিনুর ইসলাম সভাপতির বিয়াই। সহকারি শিক্ষক আসাদুজ্জামান বজলু সভাপতির শ্যালক। সহকারি শিক্ষক মঞ্জুয়ারা বেগম সভাপতির বিয়ান। মাদ্রাসার আয়া ফরিদা খাতুন সভাপতির ভাবি। দপ্তরি মনিরুজ্জামান মানিক সভাপতির ভাতিজা। নৈশপ্রহরী মমিনুর রহমান সভাপতির ভাই। এমএলএসএস রোখসানা সভাপতির ভাগ্নি।
গাছ কাটার ঘটনায় বগুড়া জেলা প্রশাসক, শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সভাপতি প্রতিবাদি শিক্ষক এবং গ্রামবাসিকে একাধিক মামলা দিয়ে শায়েস্তা করার হুমকি দিয়েছেন।
মানব বন্ধনে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক শাহ আলম, স্থানীয় ব্যাবসায়ী প্রতিনিধি মোখলেছুর রহমান, মিজানুর রহমান, আবু জাফর, শিক্ষার্থী আবু শাহীন ইসলাম প্রমূখ।
জানতে চাইলে মাদ্রাসা সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, সভাপতি আব্দুল হান্নানের সময় নিয়োগ দেয়া হয়েছে ৩জনকে। তারা অবশ্য সভাপতির আত্বিয়। অন্য নিয়োগ হয়েছে তার আগে।
সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, আমার ২আত্বিয় খুবই অসহায়। তাই তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাড়িতে বেশিদিন পালা সম্ভব ছিলনা। অন্য নিয়োগ গুলো আমার শ্বশুর দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আহম্মেদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।