শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি:
বগুড়া জেলার শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক সড়কের শালফা পূর্বপাড়া এলাকায় সড়কের মধ্যে বিদ্যুতের পোল রেখেই কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টার প্রাইজ (প্রা.) লিমিটেডের কর্তৃপক্ষরা। এতে ওই সড়কে দুর্ঘটনার শঙ্কা বাড়ছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের এমন খেয়ালীপনায় সৃষ্ট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে খুব দ্রুত সড়ক থেকে বিদ্যুতের পোল সড়ানোর জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ শুরু হয়েছে বেশ কয়েক মাস হলো।
মাটি খোঁড়াখুঁড়ি, বালি খোয়া দিয়ে সমান্তরালের কাজ শেষ হয়েছে একটি অংশে। এখন সেই অংশে চলছে কার্পেটিংয়ের কাজ। উপজেলার শালফা পূর্বপাড়া এলাকায় সড়কের মধ্যে পল্লী বিদ্যুতের একটি পোল রেখেই কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইজ (প্রা.) লিমিটেড। আারেকটি পোল রয়েছে কার্পেটিং সড়ক ঘেঁসে ফুটপাতের মধ্যে। এতে সড়ক দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে সড়কে চলাচলকারী ও স্থানীয়য়দের মধ্যে। স্থানীয়দের ধারণা সড়কের কাজ শেষ হলে এভাবেই সড়কের মধ্যে বিদ্যুতের পোল রেখে চলে যাবে তারা। তাই খুব দ্রুত বিদ্যুতের পোল সড়ানোর জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মোজাম্মেল হক, মধু মিয়া, এরশাদ হোসেন সহ স্থানীয়রা বলেন, সড়কের মধ্যে বিদ্যুতের পোল থাকলে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই সড়ক দিয়ে ছোট বড় হাজার হাজার যানবহন চলাচল করে। এবং সেগুলো খুব দ্রুত গতির যানবহন। এক যানবহন আরেকটিকে তড়িঘড়ি সাইড দিতে গেলে এই পোলের সাথে ধাক্কা খাবে এটা নিশ্চিত। এছাড়াও রাতে চলাচলরত যানবহনগুলো সরাসরি এই পোলের সাথে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই সকল দুর্ঘটনা ঘটবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের খেয়ালিপনায়। তাই দ্রুত এই পোল দুটি সড়ানো জরুরী বলে মনে করছেন তারা।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইজ(প্রা.)লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. এমদাদ হোসেনের সাথে ০১৭৪৯৬৯০৬৬১ নাম্বরে ফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রথিন্দ্রনাথ রায় বলেন, আমি শেরপুরে নতুন এসেছি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কেউ বিদ্যুতের পোল সড়ানোর জন্য আবেদন দিয়েছে কিনা আমি জানিনা। তবুও দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।