শরীফুল ইসলাম, চাঁদপুর
প্রতিবছর পদ্মার অব্যাহত ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েন রাজরাজেশ্বর ইউপির বাসিন্দারা। ভিটেবাড়ি হারিয়ে এমন অনিশ্চয়তায় দিন শুরু হয় তাদের।
এবছরও পদ্মার ভাঙন থেকে মুক্তি মিলেনি এই এলাকার বাসিন্দাদের। গত এক সপ্তাহে রাজরাজেশ্বর ইউপির প্রায় ৫ শতাধিক বসতবাড়ি নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে। যাদ যায়নি ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ ছোট-বড় বাজার।
এর আগে ১৭ জুলাই নদীগ্রাসের মুখে পড়ে তিনতলা রাজরাজেশ্বর ওমর আলী হাই স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টারটি। এক সপ্তাহ পর আজ বৃহস্পতিবার এটি পুরোপুরি নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
ওমর আলী স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুফিউল্লাহ জানান, ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রায় ১১ বার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যায়ে এখানকার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া এবং ইউনিয়নবাসীর কথা চিন্তা করে এখানে আধুনিক স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টারটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু তীব্র ভাঙনের কারণে আজ সেটিও পদ্মার পেটে চলে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, প্রতি বছর নদী ভাঙনে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই। চাঁদপুরে রাজরাজেশ্বর ইউপি একটি দুর্গম এলাকা। পদ্মার ভয়াল থাবায় বিলীন হয়ে গেছে পুরো চর। সরকার আমাদের দিকে না তাকলে আমরা কোথায় গিয়ে আশ্রয় নিবো।
রাজরাজেশ্বর ইউপি হাজী হযরত আলী বেপারী জানান, প্রবল স্রোতের কারণে রাজরাজেশ্বর ইউপির চর এলাকায় ভাঙনের মুখে পড়ে। যে কারণে স্কুলসহ বসতঘর এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে।