নিউজ ডেস্ক
ক্ষুদ্রঋণের নামে সুদের ব্যবসা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। রিট আবেদনে সারা দেশের সুদ ব্যবসায়ীদের তালিকা করে তা সরবরাহের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টেও আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন রিটটি করেন।
রিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ৬৪ জেলার ডিসি ও এসপিকে প্রতিপক্ষ করা হয়েছে।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে জনস্বার্থে করা রিটটি শুনানির জন্য বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের বেঞ্চের অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান ব্যারিস্টার সুমন।
দেশের প্রত্যেক গ্রাম ও মহল্লায় সমবায় সমিতিসহ বিভিন্ন নামে সুদের লেনদেন চলছে। অনেকে ব্যক্তিগতভাবে ঋণের নামে উচ্চ হারে সুদ নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। তাঁদের কোনো নিবন্ধন নেই। গরিব অসহায় মানুষগুলো সুদ কারবারিদের কাছে জিম্মি। তাঁদের সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে আদায় করা সুদের পরিমাণও গরিব মানুষের কাছে খুব বেশি। এসব বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে।
ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, বাংলাদেশে ৮৪টি ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার অথোরিটি লাইসেন্স আছে। অথচ হাজার হাজার মানুষ সুদের কারবার করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এটা নিয়ে কোনোভাবে নাড়াচাড়া করে তাহলেই হবে। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার চাইলে এই নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া সম্ভব। রিট আবেদনকারী আশা করেন, আদালত থেকে সুদেও নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার মতো আদেশ তিনি পাবেন।