স্পোর্টস ডেস্ক
২০০৪ সালে অবনমনের পর ক্লাবের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে পড়েছিল। ইতিহাস সমৃদ্ধ ক্লাবটি কালের বিবর্তনে হারিয়ে যায় কিনা, এই শঙ্কাও ছিল যথেষ্ট। সেই লিডস ইউনাইটেড আবারও সৌরভ ছড়াচ্ছে ইংলিশ ফুটবলে। ১৬ বছর ফিরিছে প্রিমিয়ার লিগে। আগামী মৌসুমে ইংলিশ ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ের মঞ্চে দেখা যাবে ইয়র্কশায়ারের ক্লাবটিকে। শুক্রবার হাডার্সফিল্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ব্রমউইচের ২-১ গোলের হারে প্রিমিয়ার লিগে ফেরা নিশ্চিত হয়ে গেছে লিডসের। তারা এখন দ্বিতীয় বিভাগের লিগ- চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ঘরে তোলার অপেক্ষায়। স্টোক সিটির বিপক্ষে যদি ব্রেন্টফোর্ট জিততে না পারে, তাহলেই মিশন সম্পূর্ণ লিডসের। তা না হলেও রবিবার ডার্বি কাউন্টির বিপক্ষে নিজেরা ১ পয়েন্ট পেলেই চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের আনন্দে মাতবে।
ইয়র্কশায়ারের ক্লাবটির এই সাফল্যের কারিগর মার্সেলো বিয়েলসা। অভিজ্ঞ আর্জেন্টাইন কোচের ছোঁয়ায় ১৬ বছর পর আবারও প্রিমিয়ার লিগে ফিরেছে তারা। গত মৌসুমে আশা আলোর দেখালেও ব্যর্থ হয়েছিলেন বিয়েলসা, তৃতীয় হওয়ার পর প্লে অফ হেরে শীর্ষ লিগে খেলা হয়নি। এবার আর ভুল হয়নি, আগেই নিশ্চিত করলেন প্রিমিয়ার লিগের জায়গা।করোনাভাইরাস বিরতিও লিডসের পারফরম্যান্সে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। যে জায়গায় বন্ধ হয়েছিল খেলা, সেখান থেকে নতুন শুরু করেছেন আগের পারফরম্যান্স ধরে রেখে। সে কারণেই গত বছরের নভেম্বরের পর আর শীর্ষ দুইয়ের বাইরে যায়নি বিয়েলসার দল। অবশেষে তাদের স্বপ্ন সফল হলো প্রিমিয়ার লিগে প্রোমোশনের মাধ্যমে।
প্রিমিয়ার লিগ নামকরণের আগে ইংলিশ প্রথম বিভাগের তিনবারের চ্যাম্পিয়ন লিডস। ১৯৬৮-৬৯ মৌসুমে প্রথমবার ইংলিশ ফুটবলের মুকুট জেতার পর ১৯৭৩-৭৪ ও ১৯৯১-৯২ মৌসুমে শিরোপা জেতে তারা। আর প্রতিযোগিতাটির রানার্স-আপ হয়েছে পাঁচবার (১৯৬৪-৬৫, ১৯৬৫-৬৬, ১৯৬৯-৭০, ১৯৭০-৭১, ১৯৭১-৭২)।
২০০৪ সালে প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমন হয়ে চ্যাম্পিয়নশিপে নেমে যায় লিডস। আর্থিক সমস্যার কারণে বিক্রি করে দিতে হয় নামি সব খেলোয়াড়দের, যার মধ্যে ছিলেন রবি কেন, জনাথন উডগেট ও লি বোয়ার। এরপর তো তাদের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন জন্মে, যখন তিন বছরের মাথায় তৃতীয় বিভাগে নেমে যায় লিডস। অনেক চেষ্টার পর ২০১০ সালে চ্যাম্পিয়নশিপে ফিরলেও প্রিমিয়ার লিগে খেলার স্বপ্ন ছিল দূরের বাতিঘর। তবে ২০১৮ সালে বিয়েলসা দায়িত্ব নেওয়ার দুই বছরের মাথায় সব পাল্টে গেল, প্রিমিয়ার লিগে ফিরলো শতবর্ষী ক্লাবটি।