শুক্রবার ( ১৭ জুলাই) বিকেলে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বার আউলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার ছাত্রলীগের নেতার নাম মোহাম্মদ আজম উদ্দিন। সে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ সভাপতি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান মনির আহমেদ।
আহত ছাত্রলীগ নেতা আজম উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইদ্রিসের সহযোগী হিসাবে দীর্ঘদিন সাথে ছিলাম। সম্প্রতি তার কয়েকটি অনৈতিক কার্যাকালাপে বিরোধীতা করায় আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তার বিরুদ্ধে এই সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাস গত বৃহস্পতিবার আমার ফেসবুক ওয়ালে দেই। এরই সূত্র ধরে শুক্রবার জুমার আগে তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে আসে ওই নেতার টর্চাল সেলে। দুপুর তিনটা পর্যন্ত চোখ বেঁধে দফায় দফায় নির্যাতন চালায় আমার উপর। পরে আমার পরিবার ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ওখান থেকে আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আজাহার বলেন, পুলিশের হেলফ লাইনে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত আজমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করি। এ ঘটনায় জড়িত তুষার নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস জানান, আজম দলের নাম ভাঙিয়ে নানা অপকর্মে জড়িত। তাই তাকে শাসন করার জন্য আনা হয়েছিলো।